ভয়েস প্রসেসিং বলতে কী বুঝায়? এ সম্পর্কে লিখঃ
ভয়েস প্রসেসিং বলতে কী বুঝায়? এ সম্পর্কে লিখঃ
ভয়েস প্রসেসিং হল কন্ঠস্বর হতে সৃষ্ট ডেটা সংরক্ষন ও প্রক্রিয়াকরন এবং প্রয়োজনে তা অন্যস্থানে প্রেরন। এ পদ্ধতিকে ভয়েস মেইলও বলা হয়। একস্থান থেকে অন্যস্থানে কথা স্থানান্তরের জন্য ইহা একটি টেলিফোনের বিকল্প ব্যবস্থা। এতে গ্রাহক প্রান্তে একটি ভয়েস মেইল বক্স থাকে। কোন প্রেরক যখন কোন টেলিফোন করেন, সে সংবাদ অ্যালালগ সিগন্যাল থেকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তরিত হয় এবং এ সংবাদ গিয়ে ভয়েস মেইল বক্স-এ জমা হয়। পরে অবসর সময়ে বা প্রয়োজনে যখন গ্রাহক ভয়েস মেইল বক্স-এ ডায়াল করেন, তখন সংবাদটি ডিজিটাল থেকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তরিত হয়। এভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সংবাদ পাঠানো যায় এবং এ সম্পূর্ণ ব্যবস্থাকে ভয়েস প্রসেসিং বলে।
কম্পিউটার ভবিষ্যতে শব্দ চিনতে পারবে। ব্যবহারকারী শব্দ উচ্চারন করলে কম্পিউটার শব্দটি বুঝতে পারবে। এ পদ্ধতিতে ব্যবহারকারী কম্পিউটারের সাথে মানুষের মত কথাবার্তা বলতে পারবে।
টেলি কনফারেন্সিং বলতে কী বুঝ? এ সম্পর্কে লেখ।
টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে সভা সমাবেশ করাকে টেলি কনফারেন্সিং বলা হয় এবং এ সভাকে টেলি কনফারেন্স বলে। ১৯৭৫ সালে মরি টারফ এ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। টেলি কনফারেন্স এর জন্য টেলিফোন সংযোগ, কম্পিউটার, অডিও যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার লাগে। বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে টেলি কনফারেন্সিং করা যায়। বিভিন্ন ধরনের টেলি কনফারেন্সিং ব্যবস্থা আছে, যেমন-পাবলিক কনফারেন্স, ক্লোজড কনফারেন্স ও রিড অনলি কনফারেন্স। পাবলিক কনফারেন্স সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়, পাসওয়ার্ড প্রটেকটেড। শুধুমাত্র নিদিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে ক্লোজক কনফারেন্স অংশ গ্রহন করা যায়। রিড অনলি কনফারেন্স এ শুধুমাত্র কার্যবিবরনী দেখা যায় এমনকি অংশ গ্রহনকারী মন্তব্য বার্তা আকারে পেশ করা যায়।
ভিডিও কনফারেন্সিং বলতে কী বুঝায়? এ সম্পর্কে লেখঃ
যে ব্যবস্থায় কনফারেন্স অংশ গ্রহনকারীরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের ছবি দেখতে পারে এবং কথোপকথন করতে পারে, তাকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলা হয়। বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবসা-বানিজ্য ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে দুরে অবস্থানরত কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে রোগী সরাসরি কথা বলতে পারে। এ ব্যবস্থায় ছাত্ররা ঘরে বসে ক্লাসের পড়ায় অংশ গ্রহন করতে পারে। পিসিতে সাধারণত ভিডিও কনফারেন্সিং স্থাপন করতে হলে যে সব উপাদান প্রয়োজন হয় তা হল-ওয়েব ক্যামেরা, ভিডিও ক্যাপচার কার্ড, সাউন্ড কার্ড, স্পীকার, মাইক্রোফোন, কম্পিউটার, মডেম, টেলিফোন লাইন অর্থাৎ ইন্টারনেট সংযোগ।
VOIP কী?
ইন্টারনেট টেকনোলজি এবং মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ভয়েস, ভিডিও, ডাটা আদান-প্রদান করার প্রক্রিয়াকে Voice of Internet Protocol (VOIP) টেকনোলজি বলে।
সুতরাং সংক্ষেপে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টেলিফোন কল আদান-প্রদান করার বিশেষ পদ্ধতিকে VOIP বলে। ইন্টারনেটের একটি চমকপদ ব্যবহার হল VOIP প্রচলিত টেলিফোনের মাধ্যমে আমরা যেমন কথা বলতে পারি, তেমনি এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটার দিয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে কথা বলতে পারি। এতে খরচ অনেক কম পড়ে।
VOIP এর মাধ্যম কীঃ
VOIP এর মাধ্যমঃ যে সকল নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে VOIP ব্যবহার করা যায়, তা নিম্নে দেয়া হলঃ
১। লোকাল এরিয়া নেট ওয়ার্ক বা LAN
২। ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা WAN
৩। কপোরেট ইন্টারনেট বা MAN
৪। উপরিউক্ত যে কোন দুই নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে।
VOIP দ্বারা কী কী করা যায়ঃ
VOIP দ্বারা নিম্নলিখিত কাজগুলো করা যায়ঃ
১। টেলিফোন
২। ফ্যাক্স
৩। পিএবিএক্স সিস্টেম
৪। ডোর ইন্টারকম।
VOIP কী পদ্ধতির কাজ করেঃ
প্রচলিত পদ্ধতির টেলিফোন public Switched Telephone Network (PSTN)ব্যবস্থায় Circuit Switching পদ্ধতি ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। প্রচলিত পদ্ধতির টেলিফোন পদ্ধতিতে সার্কিট সুইচিং ব্যবহার করা হয়। এতে ফোন লাইন ব্যস্ত থাকলে লাইন ফ্রি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু VOIP টেলিফোনে এ অসুবিধা দুর করার জন্য Circuit Switching এর পরিবর্তে Packet Switching পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। VOIP গেটওয়ে PSTN থেকে প্রাপ্ত ভয়েস ডাটাকে সংকুচিত করে প্যাকেট ডিজিটাল সিগন্যাল রূপান্তর করে। অতঃপর তা IP নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আদান-প্রদান করে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্যাকেট আকারে ডাটা প্রেরন কর হয় বলে। একই সময় একই চ্যানেল ব্যবহার করে একাধিক কল আদান-প্রদান করা যায়। তাই VOIP পদ্ধতিতে একই সময়ে বেশি কল কর যায়।
VOIP টেলিফোনীর প্রকারভেদ সম্পর্কে লিখঃ
VOIP টেলিফোনীর প্রকারভেদঃ নেটওয়ার্ক ও কারিগরি দিক বিবেচনা করে VOIP টেলিফোনীকে চার ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১.পিসি টু পিসি
২.পিসি টু ফোন
৩.ফোন টু পিসি
৪। ফোন টু ফোন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url